Dr. Naiyyum Choudhury: My teacher and one my dearest person - Dr. Mahboob Hossain

নঈম স্যারকে আমি প্রথম দেখি ১৮৮৫ সালে Microbiology Department এ  Masters in Microbiology  ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পরিচিতি সভায় । বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান (যার অসম্ভব সুন্দর ক্লাশ আমাকে   Microbiology পড়তে অণুপ্রাণিত করে ) নঈম স্যারকে আমাদের সাথে পরিচিত করিয়ে দেন  । তার কয়েকদিন পর থেকে তিনি আমাদের Industrial Microbiology  ক্লাশ শুরু করেন । উল্লেখযোগ্য তখন Microbiology বিভাগ ছিল Zoology department এর এক তলায় মাত্র ৫ টা রুম নিয়ে । একটা class room, ২ রুম নিয়ে laboratory,  ১ টা   teachers room  ১ টা   chairperson এর রুম । আমরা সবাই তার সুন্দর ব্যবহারে মুগ্ধ ছিলাম । ক্লাশে আমি অনেক প্রশ্ন করতাম তিনি কখনই বিরক্ত হতেন না ।  একবার Dhaka University তে  ধর্মঘট থাকায় স্যার আমাদেরকে Atomic Energy Centre এ class করতে বলেন । সেদিন খুব বৃষ্টি ছিল এবং স্যারের শরীরটাও খারাপ ছিল তারপরও তিনি class এ আসেন (যদিও আমাদের অনেকেই সেদিন আসেনি) । স্যারকে আমরা বল্লাম আপনি আজকে না আসলেও পারতেন । স্যার বল্লেন ”তোমরা class এ এসে ফিরে যাবে এটা তো আমার ভাল লাগত না ।”   মানুষকে কিছু শিখাতে এবং উপকার করাই যেন ছিল তার আনন্দ । কিছুদিনের ভিতরেই আমি উনার under এ MS thesis শুরু করি,  নঈম স্যারের সাথে ছিলেন আমার আরেকজন পরম শ্রদ্ধার মানুষ  ততকালীণ Genetics Division এর প্রধান জিয়াউদ্দীন স্যার । সেই সাভারে Atomic Energy Research Establishment এর  Microbiology এবং Genetics laboratories এ যেয়ে যেয়ে কাজ করতাম । স্যার ছিলেন অসম্ভব দেশ প্রেমিক তাই আমাকেবল্লেন আমাদের দেশে citric acid ১০০%  বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয় তুমি Aspergillus niger এর এমন একটা mutant develop কর যেটাexisting strain থেকে বেশী citric acid produce করবে । আমি mutant develop করেছিলাম কিন্তু দেশের কোন Industrialist এগিয়ে না আসায় আমাদের গবেষণার ফলাফল এখন পর্যন্ত কাজে আসেনি ।
In fact আমার research এর হাতে খড়ি তার হাতেই  আমাকে উনি এতটাই স্নেহ  বিশ্বাস করতেন যে আমার উপর তার অনেক অধিকার ছিল  ব্র্যাকবিশ্ববিদ্যালয়ে Microbiology, Biotechnology এবং Pharmacy বিভাগের শুরু প্রধানত তিনিই করেছিলেন ২০১০ সালে  তখন উনি আমাকে ব্র্যাকবিশ্ববিদ্যালয়ে join করতে বলেন  / জন student দেখে আমি join করতে চাইনি  স্যার আমাকে বল্লেন তুমি আমার অনেক আপন তাই তোমাকেবলছি আমাদের সাথে কাজ করতে  উনার কথার অবাধ্য হব এটা তো অসম্ভব  আমাকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখে জিয়াউদ্দীন স্যার (তৎকালীণMathematics and Natural Sciences Department এর Chairperson)  আর নঈম স্যার খুবই খুশী হলেন  তারপর দুজনের স্নেহশাসনঅনুপ্রেরণায় গড়ে তুলতে লাগলাম Microbiology ‍and Biotechnology Lab. ।বর্তমানে এই laboratories গুলোতে অত্যাধুনিক গবেষেণা সম্ভব । এখন আর কয়েকজন নয় বরং শত শত ছাত্র-ছাত্রী এই বিভাগে পড়ছে,  । এই laboratories  গুলোতে গবেষণার ফলাফলের  উপর ভিত্তি করে দেশ-বিদেশের  বিভিন্ন journal এ research article publish  হচ্ছে । সম্ভবত স্যারের জীবনের শেষ publication টা আমার সাথে যেটা May 2019 এ publish হয় । একবার Ministry of Science and Technology  তে food Microbiology -র উপর grant এর জন্য apply করার সময় স্যারকে Principal Investigator এবং আমি নিজেকে Associate Investigator রেখে application টা prepare করি । কিন্তু স্যার উনাকে Associate এবং আমাকে Principal Investigator   রাখতে বল্লেন । তখন আমি বল্লাম এটা কিভাবে সম্ভব । স্যার বল্লেন “Ministry তে সবাই আমাকে ভাল করে চিনে, ওখানে আমার যাতায়াত আছে তাই আমাকে  Principal Investigator রাখলে ওরা influenced হতে পারে । “ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালিন সময়ে যত ছাত্র-ছাত্রী  উনার under এ thesis করত সবাইকে আমার দেখতে হত ।  এভাবে স্যার আমাকে সারা জীবনই শিখিয়ে গেছেন ।   
স্যারের সাথে মত না মিল্লে আমরা debate করতে পারতাম কারণ আমরা শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম এ কারণে উনার স্নেহ আমাদের প্রতি এক কণা পরিমাণও কমবে না । In fact he was a zero percent vindictive person. একবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র একটা আপরাধ করে । স্যার তাকে ডেকে বকাবকি করলেন । তার কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ডেকে নিয়ে বল্লেন, “মাহুবুব ছেলেটাকে তো বকলাম এখন তো আমার খারাপ লাগছে । ” 
অফিস শেষ হবার পর স্যার আমাকে অনেকদিন সাথে করে নিয়ে যেতেন শাহবাগ পর্যন্ত  আমাকে অবশ্য sorry বলতেন যেহেতু আমি অফিসের গাড়ীতেগেলে আমার বাসার কাছে (জিগাতলা বাস স্টপেজের কাছে ) নামতে পারতাম  কিন্তু আমার খুব ভাল লাগত স্যারের সাথে যেতে কারণ রাস্তায় যেতে যেতেআমি স্যারের কাছ খেকে শিখতাম অনেক কিছু  দেশের কোন সমস্যা কি কারণে হয়কিভাবে তা সমাধান সম্ভবআমাদের কি করা উচিৎতাছাড়া তারজীবনের অনেক গল্প । বিশেষ করে মামুন স্যারের, তাহমিদা ম্যাডাম, হাসিনা ম্যাডাম, জেবা ম্যাডাম, আশফাক ভাই, সেলিম ভাইয়ের গল্প ।  এমন একজনhigh official হয়েও গরীবদের সাথে উনি অনেক সম্মান করে কথা বলতেন  আমাদের অফিস এসিষ্ট্যান্ট মুরাদের সৎতার প্রশংসা উনার কাছে অনেকশুনেছি  মানুষের উপকার করা ছিল তার নেশা এবং আনন্দ   সাড়ে চার বছর   আগে স্যার প্রধান মন্ত্রীর অনুরোধে আনেকটা ইচ্ছার  বিরুদ্ধে Atomic Energy Regulatory Authority  চেয়ারম্যান পদে যোগ দিলেও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন । শুধু তাই নয় ছাত্র-ছাত্রীরা তার মৃত্যুর কিছুদিন  আগ পর্যন্ত তার কাছ থেকে recommendation letter নিয়ে যেত । তার ব্যস্ততার কথা চিন্তা করে যদি আমি / মাস ফোননা করতাম তখন স্যার বলতেন, “মাহবুব তুমি আমাকে ভুলে গেছ? “ এই স্নেহ মাখা complain টা আমার অনেক ভাল লাগত আর এটা হয়ত সারাজীবনই আমার কানে বাজবে  BRB Hospital  ভর্তি হবার পর আমি কয়েকবার গিয়েছি  প্রথম দিকে একবার স্যার আমার ঘাড়ে হাত রেখে আদরকরলেন আমার সাথে আমাদের ছাত্র সালমান এবং আনিকা ছিলসালমানকে স্যার বরাবরই খুব আদর করতেন  তারপর একদিন আকাশকে সাথেনিয়ে গেলাম স্যার কথা না বলতে পারলেও আমাকে দেখে হাত নারলেন  এই দৃশ্যটা আমার প্রতিদিন চোখে ভাসে । স্যারকে দেখায় restriction ছিল কিন্তু বাসায় ভাল লাগত না তাই  Hospital এ যেয়ে বসে থাকতাম । স্যারের ছেলে রবিন বের হলে ওর সাথে কথা বলে চলে আসতাম । আমি জানতাম স্যারের অসুখ ভাল হবার নয় শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত প্রার্থনা করতাম তিনি যেন আমাদের মাঝে আগের মত ফিরে আসেন । আমি আশাও করতাম উনি স্বুস্থ্য হয়ে ফিরে আসবেন কারণ শ্রদ্ধা, ভালবাসা, আবেগ  এগুলো সবসময় বিজ্ঞানের সমিকরন মানে না । কিন্তু ৭ ই সেপটেম্বর ভোর পাচটায় আনিসের (আমর বন্ধূ এবং আমরা একসাথেই স্যারের under   thesis করতাম) ফোন পেয়েই আমার আশার সমাপ্তি হয় ।  স্যারের মৃত্যুর পর  আমাদের একজন ছাত্রআমার কাছে এসে নঈম স্যারের জন্য কাদতে কাদতে বল্ল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যদি একটা ভাল কিছু পেয়ে থাকি সেটা নঈম স্যারকে । স্যার যেদিন মারা যান সেদিন তাসনিম এবং পওলমি দাস নামের ২ জন ছাত্রী ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয় মসজিদে স্যারকে দেখতে যায়, না পেয়ে আমাকে ফোন করে । আমি বল্লাম আমরা তো বনানী গোরস্থানের পথে । ওরা তখন একরকম ছুটে গোরস্থানে আসে স্যারকে যদি একবার   দেখা যায় তাই ।  অনেক স্বপ্ন ছিল স্যারকেনিয়ে আরও অনেক গবেষণা করে দেশের জন্য অনেক কিছু করব কিন্তু ক্যান্সারের জন্য তা হলো না  স্যারের শরীর আস্তে আস্তে মাটির সাথে মিশে গেলেওতার সততাদেশপ্রেমধর্মনিষ্ঠা আমাদের অনুপ্রানিত করে যাবে যতদিন বেচে থাকব ইনশাল্লাহ। শরীর থেমে যাওয়া মানে সবকিছু থেমে যাওয়া নয়  সবাইআল্লাহর কাছে স্যারের জন্য দোয়া করবেন 
ড: মাহ্বুব হোসেন
অধ্যাপক, মাক্রোবায়োলজি  প্রোগ্রাম
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় 

এম, এসসি, মাইক্রোবায়োলজি (১৯৮৫ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ১৯৮৮)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

Dr. M. Mahboob Hossain 
Professor Microbiology Program 
BRAC University 

M.Sc. in Microbiology(1985 exam held in 1988)
University of Dhaka 



  
২৮ শে এপ্রিল ২০১৭, DNA day তে  ‍ৃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবন
( 28th April, 2017 at Dhaka University Senate Bhaban)

ড: নঈম চৌধুরী : আমার শিক্ষক এবং আমার সবচেয়ে  প্রিয় মানুষদের একজন
Dr. Naiyyum Choudhury: My teacher and one my dearest person

Pages